যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও স্বাস্থ্যসেবায় স্বয়ংসম্পূর্ণ ইরান।

স্টার নিউজ ডেস্ক:
ইরানে করোনার ৫ম ঢেউ চলছে। সম্প্রতি দেশটিতে ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশের বাইরে থেকে মেডিকেল যন্ত্রপাতি ও ওষুধ নিতে পারছে না দেশটি।
এজন্য মহামারি মোকাবেলায় নিজ দেশের ওপর নির্ভর করছে ইরানের স্বাস্থ্যবিভাগ। ওষুধ, যন্ত্রপাতি সবই উৎপাদন হচ্ছে দেশের ভেতর। কর্তৃপক্ষ বলছে, ইরান স্বাস্থ্যসেবায় স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কোনো পরাশক্তিকে তারা পরোয়া করে না।
এই অর্জনের অংশ হিসেবে ইরানের উত্তর-পূর্ব তাবরিজ শহরে ৭০০ বেডের একটি করোনা হাসপাতাল খোলা হয়েছে। পশ্চিম এশিয়ার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় কোভিড হাসপতাল। গতকাল শনিবার (৩১ জুলাই) দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এটি উদ্বোধন করেন। হাসপাতালটির নাম জাহরা মারদানি হাসপাতাল। সেখানে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রেস টিভি।
ইরনার খবরে বলা হয়েছে, হাসপাতালটি সাত বছর ধরে নির্মাণ করা হয়েছে। এ হাসপাতালে করোনা রোগী ছাড়াও মানসিক রোগীদের চিকিৎসা ও তাদের পুনর্বাসন করা হবে।

দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলছেন, হাসপাতালটি গত দশকের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবা সমৃদ্ধ। এছাড়া আগস্টে তেরহানে ১ হাজার শয্যাবিশিষ্ট আরও একটি হাসপাতাল উদ্বোধন করা হবে। মাহদি ক্লিনিক হসপিটাল প্রকল্পের আওতায় এটি হবে ইরানের ইতহাসে সবচেয়ে বড় হাসপাতাল। এছাড়া ৫০০ বেডের আরও ৬টি হাসপাতাল ও ৫টি বিশেষায়িত ক্লিনিক খোলা হচ্ছে ইরানে।
তাবরিজের হাসপাতালটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ১২০ মিলিয়ন ডলার। যার ব্যয় সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাত থেকে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালটিতে ২৯৯৬ জন জনশক্তিকে স্থায়ী চাকরি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ডাক্তার নার্স ও কর্মচারী।