জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলেও ডিজিটাল ভুমিসেবা নেয়া যাবে।

স্টার নিউজ ডেস্ক:
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই এমন নাগরিকরাও ডিজিটাল ভূমিসেবা নিতে পারবেন। সঠিকভাবে ডিজিটাল ভূমিসেবা দিতে প্রকৃত ভূমি-সেবাগ্রহীতার আবেদনের সত্যতা অনলাইনে যাচাইয়ের ব্যবস্থা ও জাতীয় পরিচয়পত্রবিহীন নাগরিকদের ডিজিটাল ভূমিসেবা দেয়ার ব্যবস্থা নিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
এজন্য বুধবার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাভুক্ত ‘রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন’র সঙ্গে জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য-উপাত্ত বিনিময় সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। জাতীয় পরিচয়পত্রের উপাত্তের পাশাপাশি জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের উপাত্তও এখন থেকে ভূমিসেবা ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ভূমিসচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) প্রদীপ কুমার দাস ও জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন’র রেজিস্ট্রার জেনারেল মানিক লাল বণিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্রের পাশাপাশি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন উপাত্তের ব্যবহার ভূমিসেবা প্রদান ব্যবস্থায় চালুর ফলে দেশের এনআইডিবিহীন নাগরিকরা ভূমিসেবা গ্রহণ করতে পারবেন। বিভিন্ন কারণে দেশের অনেক নাগরিকের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র নাও থাকতে পারে, এজন্য আমরা এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’
শিগগিরই বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য কেবল পাসপোর্টের মাধ্যমে ভূমিসেবা দেয়ার পদক্ষেপ নেয়া হবে জানিয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘দেশের সব নাগরিককে ডিজিটাল ভূমিসেবায় অন্তর্ভুক্ত করা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।’
ভূমিসচিব জানান, নাগরিকদের তথ্য-উপাত্তের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার ব্যাপারটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে নিশ্চিত করার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় জানায়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের সিস্টেম থেকে অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেসের (দুইটি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান পদ্ধতি) মাধ্যমে একজন নাগরিকের উত্তরাধিকার ও অন্যান্য সনদ যাচাইয়ের জন্য ই-নামজারি সিস্টেমের সঙ্গে আন্তঃসংযোগ করে যোগাযোগসূত্র স্থাপন করা হয়েছে। এতে ভূমি মন্ত্রণালয় যেকোনো ভূমিসেবার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর তথ্যের সঠিকটা যাচাই করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী, রেজিস্ট্রার জেনারেল মানিক লাল বনিক ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার দাস বক্তব্য দেন।