
স্টার নিউজ ডেস্ক:
জাতিসংঘের পারমাণবিক কর্মসূচি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক এবং ইরানের পারমাণবিক সংস্থার প্রধান একটি সমঝোতায় পৌঁছেছেন। ২০১৫ সালের ইরান পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে চলমান সংকট নিরসনে যা ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শনিবার তেহরানে আসেন আইএইএ প্রধান রাফাল গ্রোসি। রোববার সকালে ইরানের পারমাণবিক সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ এসলামির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর ইরানে এটা গ্রোসির প্রথম সফর। এসলামিকে গত ২৯ আগস্ট পারমাণবিক সংস্থার প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন রাইসি।
বৈঠককে ‘গঠনমূলক’ বর্ণনা করে চলতি মাসের শেষে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় আইএইএ-র সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে আলোচনা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে রাজি হয়েছে দুইপক্ষ। সংস্থাটির পর্যবেক্ষণ ক্যামেরার মেমোরি কার্ড প্রতিস্থাপন করতে গ্রোসির শিগগিরই আবার তেহরান সফরের ব্যাপারেও রাজি হয়েছেন তারা।
পরমাণু উৎপাদন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থার পরিদর্শন বন্ধ করতে এবং ইউরেনিয়ামের উৎপাদন বাড়ানোর পদক্ষেপ হিসেবে গত ডিসেম্বরে পার্লামেন্টে নতুন একটি আইন পাস করে ইরান। সেই আইনের কারণে ওই পর্যবেক্ষণ ক্যামেরাগুলো পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে সরানো হয়। সেগুলো এখন তেহরানে রয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারি থেকে ইরান বলে আসছে, যুক্তরাষ্ট্রের একপাক্ষিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে ভিয়েনায় যদি কোনো চুক্তি সই হয় শুধু তখনই তারা ক্যামেরার টেপ আইএইএ-র কাছে হস্তান্তর করবে। রোববার বৈঠক শেষে ইরানের পারমাণবিক সংস্থার প্রধান এসলামি বলেন, ‘আমরা আইএইএ-র সঙ্গে আস্থা তৈরির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।’
