পরীমনি আরও ২দিনের রিমান্ডে।

স্টার নিউজ ঢাকা প্রতিনিধি:

পরীমনি ও তার সহকারী আশরাফুল ইসলাম দীপুর আরও দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস মঙ্গলবার দুপুরে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
পরীমনি ও দীপুকে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এদিন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তাফা তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিলেন। রিমান্ড শুনানিকালে পরীমনিকে কাঁদতে দেখা যায়। শুনানি শেষে বলেন, তাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে। এ দিকে পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান বলেন, একজন নায়িকা ১২২ ঘণ্টা এক পোশাকে রয়েছেন। তিনি তো একজন নায়িকা। তার তো একটা লাইফস্টাইল রয়েছে। জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু বলেন, পরীমনি কাপড় চেঞ্জ না করা একটা রাজনীতি। এখানে সবাই কাপড় চেঞ্জ করেছেন। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে কাপড় চেঞ্জ করেননি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা বলেন, তাকে কাপড় দেয়া হয়েছে। সে এখানে আসার আগে এ কাপড় পরেছেন। এর আগে সে অন্য কাপড় (টি-শার্ট) পরেছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে আদালতে হাজির করা হলে বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের হওয়া মামলায় পরীমনি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশীদ। রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার আবারও তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
গত ৪ আগস্ট পরীমনিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গ্রেপ্তার অভিযানে পরীমনির বনানীর বাড়ি থেকে বিদেশি মদ পাওয়া গেছে বলে র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এরপর র‌্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন।
একই আদালত চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ ও তার সহযোগী সবুজ আলীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুই মামলায় ছয় দিনের রিমান্ড দেন। আদালত তাদের মাদক মামলায় দুই দিন ও পর্নগ্রাফির মামলায় চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মাদক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মো. গিয়াস উদ্দিন রাজ ও সবুজ আলীর পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিলেন। অন্যদিকে পর্নগ্রাফি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপর্দশক সোহেল রানা রাজ ও সবুজের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।