
স্টার নিউজ ডেস্ক:
অন্তবর্তী সরকার গঠনে আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন তালেবান কমান্ডার ও তালেবানগোষ্ঠীর সহযোগী সংগঠন হাক্কানি নেটওয়ার্কের জ্যেষ্ঠ নেতা আনাস হাক্কানি। বুধবার সকালের দিকে এই সাক্ষাৎ ঘটে বলে এক প্রতিবেদেন জানিয়েছে রয়টার্স।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তালেবান নেতা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে একটি অন্তবর্তী সরকার গঠন করতে হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন আনাস হাক্কানি। সাবেক সরকার আমলে আফগানিস্তানের তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকার ও তালেবানগোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি সংলাপ বিষয়ক প্রধান দূত আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত হাক্কানি নেটওয়ার্ক তালেবানগোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান সহযোগী সংগঠন হিসেবে পরিচিত। পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকাসমূহে এই নেটওয়ার্কের কাজ আছে এবং গত কয়েক বছরে বেশকিছু ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে এই নেটওয়ার্ক।
মে মাস থেকে আফগানিস্তান দখলের অভিযান শুরুর পর মাত্র আড়াই মাসের ব্যবধানে দেশের ৩৪ টি প্রদেশের ২৮ টির দখল নেওয়ার পর চলতি সপ্তাহের রোববার রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করে তালেবান বাহিনী। ওই দিনই দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে পলায়ন করেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি।
আফগানিস্তানের পূর্ণ ক্ষমতা চায় তালেবান; তবে তার আগে আনুষ্ঠানিকতার খাতিরে একটি অন্তবর্তী সরকারের প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ ক্ষেত্রে তালেবান নেতাদের পছন্দের তালিকায় প্রথমে আছেন দেশটির সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাই।
এদিকে, আফগানিস্তানের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ ইতোমধ্যে নিজেকে আফগান প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেছেন। রাজধানী অভিমুখে তালেবান বাহিনীর এগিয়ে আসার জেরে কাবুল থেকে সরে গিয়ে দেশটির উত্তর-পুর্বাঞ্চলীয় পানশির উপত্যকায় আত্মগোপনে আছেন আমানুল্লাহ সালেহ।
মঙ্গলবার এক টুইটে আমানুল্লাহ সালেহ বলেন, ‘আফগানিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী— প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতি, পলায়ন অথবা মৃত্যুর পর ভাইস প্রেসিডেন্ট দেশের তত্ত্বাবধায়ক প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। বর্তমানে আমি দেশের ভেতরে আছি এবং আমিই দেশের একমাত্র বৈধ তত্ত্বাবধায়ক প্রেসিডেন্ট। আমি সব নেতার সমর্থন এবং সহায়তা পাওয়ার জন্য তাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি।’
সূত্র : রয়টার্স