ফিরে গিয়ে বলতে চাই বাংলাদেশকে তাদের মাঠে সিরিজ হারিয়েছি।

স্টার নিউজ ডেস্ক:
পাঁচ ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গত মঙ্গলবার ঢাকায় পা রেখেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল। বাংলাদেশের কন্ডিশনে প্রতিপক্ষ দলগুলো বরাবরই নাস্তানাবুদ হয়। ঠিক এমন সময়ে কিউইদের সামনেও অপেক্ষা করছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবে দলটির অভিজ্ঞ পেসার হ্যামিশ বেনেটের মতে বাংলাদেশে তাদের বারবার ব্যর্থ হওয়াটাই তাদের কাছে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।
যদিও এবারের সফরে পূর্ণশক্তির দল পাঠায়নি নিউজিল্যান্ড। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল দলে জায়গা করে নেওয়া একজনও নেই বাংলাদেশ সফরের দলে। অনভিজ্ঞ কিউই শিবিরে বেনেটই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি এর আগে জাতীয় দলের সঙ্গে বাংলাদেশ সফর করেছেন। তবে তারকাদের দলে না থাকাটাও তাদের জন্য অনুপ্রেরণা এমনটা মনে করেন ৩৪ বছর বয়সী এই পেসার।
বুধবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বেনেট বলেন, ‘আমরা দলবদ্ধ হয়ে এখানে দেশের হয়ে খেলতে এসেছি। আগেরবার যখন এসেছিলাম ওরা ৪-০ ব্যাবধানে হারিয়েছিল আমাদের। এখানে তেমন কোন সাফল্য না থাকাটাই আমাদের উৎসাহ যোগাচ্ছে। আমরা নিউজিল্যান্ডে ফিরে গিয়ে বলতে চাই আমরা বাংলাদেশকে তাদের দেশের মাটিতে সিরিজ হারিয়েছি। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া এবং বড় দলগুলোর কী অবস্থা হয়েছে এখানে তা যদি আপনারা দেখে থাকেন।’
সদ্য শেষ হওয়া বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ নিয়ে বেনেট বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলাগুলো জমজমাট ছিল। আশা করি এবারও তেমনি হবে। অস্ট্রেলিয়া খেলে যাওয়ায় আমরা এখন জানি তারা কীভাবে আমাদের আক্রমণ করবে। তবে বড় বিষয় এখানকার উইকেট। আমাদের কৌশলগুলো এই কন্ডিশনে কার্যকর হবে কি না তা জানার জন্য আমাদের হাতে ৪-৫ দিন সময় আছে।’
বাংলাদেশে পা রেখেই খারাপ সংবাদ শুনতে হয়েছে নিউজিল্যান্ড দলকে। কিউই ক্রিকেটার ফিন অ্যালেন করোনা পজিটিভ হওয়াটা তাদের জন্য বড় ধাক্কা। সতীর্থের পাশে পুরো দল আছে এমনটা জানিয়ে বেনেট বলেন, ‘সে এখন ভালো আছে। আমরা আমাদের সাধ্য মতো তাকে সমর্থন করে যাব। তবে আমার মনে হয় এরকম কিছুর জন্য সবাই মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিল।’
নিউজিল্যান্ড দলে থাকা ফাস্ট বোলার বেন সিয়ার্স বিপাকে ফেলতে পারেন বাংলাদেশ দলকে। সিয়ার্সের পরামর্শক হিসেবে পরিচিত বেনেট তার সম্পর্কে বলেন, ‘সে ভীষণ পড়ুয়া। এই প্রথম আমি কাউকে এত আনন্দের সঙ্গে আইসোলেশনে যেতে দেখছি।’ উল্লেখ্য সিয়ার্স এর আগে বাংলাদেশের মাটিতে অনূর্ধ-১৯ বিশ্বকাপ খেলে গেছেন।
স্পিনবান্ধব উইকেটেও সিয়ার্স তার গতির ঝড় বজায় রাখবে বলেই বিশ্বাস বেনেটের। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি সে জোরে বল করবে। কন্ডিশন আমাদের পক্ষে না হলেও সে আক্রমণাত্মক থাকবে ও বোলিংয়ে বৈচিত্র আনবে বলে আমি মনে করি।’