প্রধানমন্ত্রী: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

স্টার নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যারা কর্মরত আছেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের যেন টিকা দেওয়া হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে
খুব তাড়াতাড়ি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শিক্ষকদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যারা কর্মরত আছেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের যেন টিকা দেওয়া হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সংসদে সিরাজগঞ্জ- ৬ আসনের এমপি হাসিবুর রহমান স্বপনের মৃত্যুতে আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্কুলে ছেলেমেয়েদের আনার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কতগুলো নির্দেশনা রয়েছে। আমরা সেই নির্দেশনা মেনেই টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছি। যার জন্য ফাইজার টিকা ইতিমধ্যে দেশে এসে পৌঁছেছে, আরও আসবে। মডার্নার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। অন্যান্য টিকাও আসছে। অলরেডি ৬ কোটি টিকার টাকা আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে টিকা আসতে থাকবে।
এর আগে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি মাসে যাতে এক কোটির বেশি ডোজের টিকা পাওয়া যায় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত (৩০ আগস্ট) ২৪ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ ডোজ টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিমাসে যাতে এক কোটির বেশি ডোজের টিকা পাওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিনোফার্ম থেকে পাওয়া শিডিউল অনুযায়ী অক্টোবর থেকে প্রতি মাসে ২ কোটি হিসেবে ডিসেম্বরের মধ্যে ৬ কোটি টিকা পাওয়া যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধকল্পে এ পর্যন্ত এক কোটি ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ১৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬৯ জনকে দ্বিতীয় ডোজসহ দুই কোটি ৬১ লাখ ২৯ হাজার ১৮৭ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। ৩০ আগস্ট পর্যন্ত মজুত টিকার পরিমাণ ১ কোটি ১৮ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৩ ডোজ। সংক্রমণ প্রতিরোধে করোনাভাইরাসের টিকা সংগ্রহ ও বিনামূল্যে টিকাদান কার্যক্রম চলমান।
সরকারপ্রধান বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা সংগ্রহে আমরা বিশ্বের সব উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গেই যোগাযোগ করেছি। এগুলোর মধ্যে কেবল ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে সাড়া পাওয়া যায়। তাদের অগ্রিম টাকা দিয়ে তিন কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহের চুক্তি করা হয়। অন্যান্য উৎপাদনকারী সংস্থা থেকে টিকা পাওয়ার কোনো সাড়া মেলেনি। পরবর্তী সময়ে চীনের সিনোফার্মা এবং রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি থেকে সাড়া পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্যোগ নিই। এর মধ্যে সিনোফার্মার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের জন্য সমঝোতা চুক্তিও হয়েছে।