ক্ষেপণাস্র-ড্রোন হামলায় সৌদিতে বাড়িঘর ধ্বংস, আহত ২

স্টার নিউজ ডেস্ক:
সৌদি আরবের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং সশস্ত্র ড্রোন হামলায় অন্তত দুই শিশু আহত ও ১৪টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লোহিত সাগরের উপকূলবর্তী জেদ্দার কয়েকটি স্থানেও হামলা হয়েছে। রোববারের পৃথক এই হামলায় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য নিশ্চিত করেছে সৌদির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ইয়েমেনে সৌদি জোটের বিরুদ্ধে লড়াইরত দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা বলেছে, সৌদি আরবের দাম্মাম শহরের রাস তানুরা এলাকায় সৌদির তেল জায়ান্ট আরামকোর স্থাপনায় আটটি সশস্ত্র ড্রোন এবং একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।
সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলের জিজান এবং নাজরান প্রদেশে অরামকোর তেল স্থাপনাতেও হামলা চালিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।
তবে এই হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সৌদি আরামকোর কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। হামলার বিষয়ে অবগত একটি সূত্র বলেছে, হামলায় সৌদি আরামকোর অবকাঠামোর কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। স্থাপনার বাইরে হামলা হয়েছে।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দাম্মামের উপকণ্ঠে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে বাধা দেওয়ার পর ধ্বংস করা হয়েছে। এ সময় ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে দুই শিশু আহত ও ১৪টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনগুলো জিজান এবং নাজরান প্রদেশে ধ্বংস করা হয়েছে।
২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুথি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।
যদিও ইয়েমেনের এই সংঘাতকে মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্যের লড়াইয়ে সৌদি-ইরানের ছায়াযুদ্ধ হিসেবে দেখা হয়। মধ্যপ্রাচ্যের এই যুদ্ধে ইয়েমেনের লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং বাস্ত্যুচুত হয়েছেন লাখো মানুষ। চলমান এই সংঘাতে ইয়েমেন চরম দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘ।
সৌদি জোটের হামলার জবাবে ইয়েমেনের হুথিরা প্রায়ই সৌদি আরবের বিভিন্ন শহর, বিমানবন্দর, সামরিক স্থাপনা এবং গুরুত্বপূর্ণ তেল স্থাপনায় হামলা চালিয়ে আসছে।

সূত্র: রয়টার্স।