
স্টার নিউজ ডেস্ক:
বন্যার পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়াতে দুর্ভোগে পড়েছে পানিবন্দি মানুষ। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলা দুটিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। দোহার-নবাবগঞ্জ-মানিকগঞ্জ রক্ষাবাঁধ সংলগ্ন প্রায় ৩৫টি গ্রামসহ নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, নবাবগঞ্জ উপজেলার নদীর তীরবর্তী বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবারের হাজারো মানুষ। অপরদিকে দোহার উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে নয়াবাড়ি, কুসুমহাটি, মাহমুদপুর, বিলাসপুর ও নারিশা ইউনিয়নের শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এখন নৌকা। বন্যাকবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। পদ্মার পানিতে ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় গবাদিপশু নিয়েও বিপাকে পড়েছে এসব অঞ্চলের কৃষক পরিবারগুলো। দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট। অতি কষ্টে জীবন যাপন করছেন বন্যাকবলিত এলাকার বাসিন্দারা। বন্যাকবলিত দোহার উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদ। অতি দ্রুতই বন্যার পানি কমে যাক- এমনটাই প্রত্যাশা বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের।
