নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা কামনা করেছেন রাষ্ট্রপতি

স্টার নিউজ ডেস্ক:

নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে আজ সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন এবং খেলাফত মজলিসের সঙ্গে সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয়।
বঙ্গভবনে তাদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনই এ আলোচনার মূল লক্ষ্য।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পর্যাক্রমে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব হবে।
আলোচনাকালে তরিকত ফেডারেশনের প্রতিনিধিদল স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দেন।
তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি। এছাড়া তারা আইন প্রণয়নের অনুপস্থিতিতে সার্চ কমিটি গঠন, রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সুশীল সমাজের সাথে মতবিনিময় এবং নির্বাচন কমিশনে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ও তাদের পরিবারের কাউকে নিয়োগ না দেয়ারও প্রস্তাব করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান।
২০ ডিসেম্বর সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন রাষ্ট্র্রপতি।
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। সংবিধানে কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের কথা উল্লেখ আছে। তবে এ সংক্রান্ত আইন দেশে হয়নি। এ পরিস্থিতিতে গত দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সার্চ কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটি সম্ভাব্য ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করার পর রাষ্ট্রপতি সেখান থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের নিয়োগ দেন।
এবার সংবিধান অনুযায়ী আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে আসছিল বিভিন্ন সংগঠন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।