বান্দরবান পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

স্টার নিউজ ডেস্ক:
বান্দরবান পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লী গের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম বেবীসহ চার জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বান্দরবান জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সিদ্দিক এ পরোয়ানা জারি করেন। বাকি তিন জন হলেন, পৌর মেয়রের ছোট ভাই নাছির উদ্দিন, পৌর যুবলীগের (২নং) সাংগঠনিক সম্পাদক ও মেয়রের একান্ত সহকারী আশুতোষ দে ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা শেখ ফরিদ উদ্দিন। মামলা সূত্রে জানা যায়, নারী নির্যাতন, ভাঙচুর, বেআইনি সমাবেশের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৮ জুন বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, মাহাবুবুর রহমান, নাছির উদ্দিন, আশুতোষ কুমার দে, শেখ ফরিদ উদ্দিন, মিলন বিশ্বাস ও নুরুজ্জামান মিলনসহ সাতজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন রেহেনা আক্তার নামের এক নারী। আদালত অভিযোগ গ্রহণ করে ওসিকে (টুরিস্ট পুলিশ) তদন্তের নির্দেশ দেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে নাছির উদ্দিন, আশুতোষ কুমার দে, শেখ ফরিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। ওই প্রতিবেদনে নারাজি দেন বাদী রেহেনা আক্তার, পরে মামলার তদন্তে মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবীর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। পরে মেয়রসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে বনানী স ’মিল এলাকায় অবৈধভাবে ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে তারাসহ মোট সাত জনকে আসামি করে মামলা করেন এক নারী। তদন্ত শেষে মামলায় এ চার জনের সম্পৃক্ততা পেয়ে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী কাজী মাহতুল হোসাইন বলেন, স’ মিল এলাকায় নারী নির্যাতন, বেআইনি ভাবে ঘরবাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে গত বছরের ১৮ জুন মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, মাহাবুর রহমান, নাছির উদ্দিন, আশুতোষ দে, শেখ ফরিদ উদ্দিন, মো. মিলনসহ মোট সাত জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলা করা হয়। পরে আদালত অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব দেন বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশ পরিদর্শককে। তদন্ত শেষে এ চার জনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় আদালত এ গ্রেফতারি পরোয়ানা দেন।’
মামলার বাদী বলেন, ‘আমার বাবার মৃত্যুর আগে যার যার অংশ ভাগ করে দেন। কিন্তু পৌর মেয়র ইসলাম বেবী তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে জায়গাটি ক্রয়সূত্রে মালিক দাবি করে দখলের চেষ্টা চালান। তখন আমি কোনও উপায় না পেয়ে মামলা করি।’
তবে গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান পৌর মেয়রের একান্ত সহকারী আশুতোষ দে। তিনি জানান, ওই নারী রেহেনা ২০২১ সালে একটি মামলা করেছিলেন।