শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৩ বছরে দেশের প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে

স্টার নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৩ বছরে দেশের প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে, ক্রয়ক্ষমতা তিনগুণ বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার (৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপকমিটির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপকমিটির সভাপতি খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় কবি নির্মলেন্দু গুণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ, দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, কণ্ঠশিল্পী জয়ন্ত চট্টাপাধ্যায়, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে একটি নিরস্ত্র জাতি সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত হয়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলো। আর জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে দেশ পৃথিবীকে অবাক করে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এই উন্নয়ন অগ্রগতি যাদের পছন্দ হয় না, তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার রাজনীতি করছে, তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যদি বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন না করতো তাহলে আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি কোনোটাই রক্ষা পেতো না। তার নেতৃত্বেই যেহেতু বাঙালির ইতিহাসের পাতায় জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়, তিনি আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টিকে রক্ষা করেছেন, সেই কারণেই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।’
ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশে গত ১৩ বছরে মানুষের মাথাপিছু আয় ৬শ থেকে ২৬শ ডলারে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৪ গুণ বেড়েছে। আর মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে। আজকে গ্রামে হারিকেন দেখা যায় না। হারিকেন-চেরাগ-কুপি বাতি এখন ড্রয়িং রুমে সাজিয়ে রাখতে হবে। গত ১০ বছরে কৃষিতে যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে শিশুরা এখন হালের বলদ চেনে না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা এগুলো দেখেও দেখেন না।’
আজকে প্রতিটি মানুষ ভালো আছে অথচ মির্জা ফখরুল সাহেবরা মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য, বিভ্রান্ত করার জন্য নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দেশ বদলে গেছে, কবিতায় কুঁড়েঘর আছে, বাস্তবে সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না। যে ছেলে ১২ বছর আগে বিদেশ গেছে, সে এসে শহর-গ্রাম চিনতে পারে না।