স্টারনিউজ ডেস্ক:
কোপার শেষ কোয়াটার ফাইনালে মেসির আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হয়েছিল ইকুয়েডরের। এই ম্যাচে ফের দেখা গেল মেসি ম্যাজিক। নিজে গোল করলেন, গোল করালেন সতীর্থদের দিয়ে। মেসি ছাড়া আর্জেন্টিনার হয়ে ১টি করে গোল করেন ডি পল ও মার্টিনেজ। দু’টি গোলের পাসই বাড়িয়ে দেন মেসি।
ম্যাচের প্রথম থেকেই নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করেই খেলতে থাকে স্কোলানির দল। শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ এসে পরে ইকুয়েডরের রক্ষণে। মাঝে মধ্যে কয়েকবার ভালেন্সিয়ার নেতৃত্বে আর্জেন্টাইন রক্ষণে হানা দেয় ইকুয়েডর কিন্তু আর্জেন্টিনার রক্ষণ ভাঙতে পারেনি তারা। ১৭ মিনিটে মেসির কর্ণার থেকে বল নামিয়ে পেজেল্লা শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২২ মিনিটের মাথায় দলকে এগিয়ে দেওয়ার সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মেসি। ইকুয়েডরের গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি মিস্টার বার্সেলোনা। তাঁর শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ম্যাচের ৪০ মিনিটে মাথায় মেসির পাস থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ডি পল। প্রথমার্ধের শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে দু’দলই আক্রমণে চাপ বাড়ায়। দুই দলই একের পর এক সুযোগ তৈরি করতে থাকে, কিন্তু বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হয় বার বার। কখনও বল বাইরে মারে, কখনও গোলরক্ষকের হাতে জমা পরে আবার কখনও উড়ে আসা ক্রসে পা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়। আক্রমণে আরও চাপ বাড়ানোর জন্য ৭১ মিনিটে সেলসো ও পারেদেসকে তুলে নিয়ে ডি’মারিয়া ও রডরিগেজকে মাঠে নামান আর্জেন্টাইন কোচ। ফলস্বরুপ ৮৪ মিনিটে ইকুয়েডরের রক্ষণের ভুলে ব্যবধান দ্বিগুন করেন মার্টিনেজ । ইকুয়েডরের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় পিয়েরো হিনক্যাপিকে তাড়া করেন মেসি এবং ডি মারিয়া। বল ছিনিয়ে নিয়ে মেসি বাড়িয়ে দেন মার্টিনেজের উদ্দেশে। সেই বল গোলে ঠেলতে ভুল করেননি তিনি। এর ঠিক কয়েক মিনিট পরে অর্থাৎ ৮৯ মিনিটের মাথায় ডি’মারিয়াকে ফাউল করার জন্য লাল কার্ড দেখেন ইকুয়েডরের হিনকাপি। ফ্রি-কিক পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ফ্রিকিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি ফুটবলের জাদুকর মেসি। ৩-০ গোলে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে মেসি বাহিনী।
৭ জুলাই সেমিফাইনালে মেসির আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হবে কলোম্বিয়ার।