এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ বাংলাদেশের

স্টার নিউজ ডেস্ক:

দাপুটে পারফরম্যান্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯ উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। এ নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বাংলাদেশ হারাল টানা ১০ ওয়ানডেতে, জিতল টানা চারটি সিরিজ। আগের ম্যাচের মতোই গুরুত্বপূর্ণ টসটি জেতেন তামিম ইকবাল, আবারও বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আবারও বাংলাদেশ স্পিনারদের সামনে দিশেহারা হয়ে পড়ে উইন্ডিজ ব্যাটিং লাইন আপ। আগের ম্যাচে ১৪৯ রান তুললেও এবার তারা গুটিয়ে যায় ১০৮ রানেই। পরে তামিম ইকবালের অপরাজিত ৫০ ও লিটন দাসের ২৭ বলে ৩২ রানের ইনিংসে বাংলাদেশ জিতেছে ১৭৬ বল বাকি থাকতেই। এ নিয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটে শেষ পাঁচ সিরিজের সবকয়টি জিতলো বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৫ সালে টানা পাঁচ সিরিজ জেতার কীর্তি দেখিয়েছিল টাইগাররা। ২০১৪-১৫ মৌসুমে জিতেছিল টানা ছয় সিরিজ।

বোলাররাই অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিলেন। বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ছিল মাত্র ১০৯ রানের। ক্যারিবীয় দুই বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেন আর গোদাকেশ মোতিকে সামলাতে তামিম ইকবালের সঙ্গে লিটন দাসের বদলে আজ ওপেনিংয়ে নামেন আরেক বাঁহাতি নাজমুল হোসেন শান্ত।

বুদ্ধিটা ভালোই কাজে দিয়েছে বলতে হবে। দুই ওপেনারকে শুরুর দিকে কোনো বিপদে ফেলতে পারেননি ক্যারিবীয় বোলাররা। বেশ দেখেশুনে খেলছিলেন তামিম-শান্ত। জুটিতে ৪৮ রান আসে তাদের। কিন্তু দারুণ খেলতে খেলতে উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার অভ্যাস থেকে বের হতে পারেননি শান্ত। ইনিংসের ১৩তম ওভারে ক্যাচ হন এই বাঁহাতি। ৩৬ বলে ২ বাউন্ডারিতে শান্ত করেন ২০ রান। তবে এরপর আর ক্যারিবীয়দের কোনো সুযোগ দেননি তামিম-লিটন। দ্বিতীয় উইকেটে ৫১ বলে ৬৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তারা। তামিম ক্যারিয়ারের ৫৩তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বাউন্ডারি হাঁকিয়ে। তখন দলের জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ১ রান। ৬২ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম। ২৭ বলে ৬ চারে ঝড়ো ৩২ করেন লিটন।

এর আগে মেহেদি হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৩৫ ওভার খেলে ১০৮ রানেই গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস।