
স্টার নিউজ ডেস্ক:
তিন কারণে ২০২৩ সালে সংকট দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) মন্ত্রিসভার আলোচনায় শঙ্কা প্রকাশ করা হয়—ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব, করোনা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ এবং চীনের পণ্য আসা কমে যাওয়ার কারণে ২০২৩ সালে ক্রাইসিস দেখা পারে।
সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক হয়। পরে দুপুর দেড়টার দিকে সচিবালয়ে ব্রিফ্রিং করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সংকট মোকাবিলায় সবাইকে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিভিন্ন শস্যের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের নির্দেশ দেন।
সরকারপ্রধান বলেন, দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে হবে বিদেশে। রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়টি আরও সহজ করতে হবে। নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে পাঠাতে হবে। একই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে, যাতে তারা বিনিয়োগে আগ্রহী হয়।
প্রধানমন্ত্রী থার্ড পার্টির কাছে না গিয়ে সরাসরি বিদেশ থেকে খাদ্যপণ্য কেনার নির্দেশনা দেন বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ২০২৩ সালে ৩টি কারণে সংকট সামনে আসতে পারে। এ জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়টি বলা হয়েছে। আমাদের গবেষণায় কৃষি, মৎস্য ও প্রাণী খাতে বেশ কিছু নতুন ভ্যারাইটি এসেছে। আমরা আশা করছি এগুলো মাঠে গেলে আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ হয়ে যাবে।