স্টার নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী পুলিশকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে তাদের সম্পর্কে জনগণের ভীতি দূর করে এবং ভালো কাজগুলো চালিয়ে যেতে বলেছেন। ‘‘পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা অটুট রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করুন”।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর রাজারবাগে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
সরকারপ্রধান বলেন, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে দেশে বিএনপি-জামায়াত আগুন সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছিল। জামায়াত-শিবির-বিএনপির লোকেরা প্রকাশ্যে পুলিশকে হত্যা করেছে। সে সময় ২৯ জন পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। তারপরও পুলিশ সদস্যরা জীবন বাজি রেখে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। অতীতের মতো আর কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যাতে না ঘটে সেজন্য পুলিশ বাহিনীকে সবসময় সজাগ থাকতে হবে।
দেশবিরোধী একটি চক্র নানা ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ কেউ বিদেশে বসে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। দেশের মানুষকে উসকানি দিচ্ছে। সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এদের অপতৎপরতা আরো বাড়বে। বাড়তে পারে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড। এসব অপকর্ম রুখতে আপনাদের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, আপনারা আইনের রক্ষক, শান্তি শৃঙ্খলার রক্ষক। হুমকি-ভয়ভীতির মুখে অপরাধমূলক কাজের সাথে কোনোভাবেই আপস করা যাবে না।
পুলিশের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তুলেছি। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এখন আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য। এ জন্য আমাদের ‘স্মার্ট পুলিশ বাহিনী’ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আপনারা জনগণের সমস্যাকে একান্ত আন্তরিক ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবেন। জনগণের মনে পুলিশ সম্পর্কে যেন অমূলক ভীতি না থাকে, সে জন্য জনগণের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলবেন।
এর আগে বাংলাদেশ পুলিশ পদক বিপিএম ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক পিপিএম পাওয়া ১১৫ জনকে পদক পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্রসচিব আমিনুল ইসলাম খান ও পুলিশ প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।