স্টার নিউজ ডেস্ক:
দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হতে কোনো আইনি বাধা নেই। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তির পদ নিয়ে যে বিতর্ক সামনে আনা হচ্ছে, সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন। যিনি দুদকের একজন সাবেক কমিশনার। ইতোমধ্যে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করে গেজেটও প্রকাশ করা হয়েছে।
দুদক আইনে বলা আছে, কোনো কমিশনার অবসর নেওয়ার পর প্রজাতন্ত্রের কোনো লাভজনক পদে নিয়োগের যোগ্য হবেন না। এখন মো. সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দুদক আইনের ওই সূত্র ধরে নতুন করে আলোচনা তৈরি হয়েছে রাষ্ট্রপতি পদটি ‘লাভজনক’ কি না। এটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে।
সেই প্রসঙ্গ ধরে সিইসি বলেন, সংবিধান, আইন, বিধি বিধান ও আদালতের রায় পর্যালোচনা করলে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হতে মো. সাহাবুদ্দিনের কোনো ধরনের ‘অযোগ্যতা নেই’। এ নিয়ে সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ এবং ১৯৯৬ সালের সাহাবুদ্দীন আহমদ বনাম আবু বকর সিদ্দিক মামলার রায়টি পড়ে শোনান তিনি।
সিইসি বলেন, গত ১২ তারিখে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়। দুজন সংসদ সদস্য প্রস্তাবক এবং সমর্থন করেছেন। রাষ্ট্রপতি প্রার্থী তাতে সম্মত হয়ে তার বিবৃতি দিয়েছেন। ১৩ তারিখ বাছাইয়ের জন্য নির্ধারিত ছিল। বাছাইয়ের কাজটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার তথা নির্বাচনি কর্তার একক এবং অবিভাজ্য। এটা কমিশনের কোনো দায়িত্ব নয়। দায় দায়িত্ব, ভুলভ্রান্তি, সবকিছুর দায়ভার প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এককভাবে নিতে হবে।
‘সেজন্যই, যেহেতু বিষয়টি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ওপর অর্পিত একটি একক ও অবিভাজ্য দায়িত্ব, তাই আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাম নির্বাচনী কর্তা হিসেবে কিছু কিছু উত্থাপিত বিষয়ে বিভ্রান্তি নিরসনের সুবিধার্থে কিছু বক্তব্য উপস্থাপন আবশ্যক মনে করছি।’
সিইসি বলেন, একটি প্রশ্ন উঠেছে যে, প্রার্থীর সাংবিধানিক বা আইনগত অযোগ্যতা রয়েছে। এটা সত্য যে দুদক আইনে ৯ ধারায় বলা হয়েছে যে কর্মাবসানের পর কোনো কমিশনার প্রজাতন্ত্রের লাভজনক কোনো পদে নিয়োগ লাভে যোগ্য হবেন না। এটা আছে। এটার আলোকে বিষয়টি বিবেচ্য। এতে করে অনেকে বলতে চেয়েছেন যে, রাষ্ট্রপতির পদটি একটি লাভজনক পদ।
রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক কি না, সে বিষয়ে সংবিধানে স্পষ্ট কিছু বলা নেই। তবে এর আগেও এ নিয়ে বিতর্ক হয়েছে এবং ১৯৯৬ সালে হাই কোর্ট এক রিট মামলার রায়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছিল, রাষ্ট্রপতির পদ ‘লাভজনক নয়’।