ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রাম বন্দর সার্বক্ষণিক চালু থাকবে

স্টার নিউজ প্রতিনিধি
ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রাম বন্দরের সব সেবা সার্বক্ষণিকভাবে চালু থাকবে। বন্দরসংশ্লিষ্ট ব্যাংক, বীমা, কাস্টমস, সিএন্ডএফ এজেন্ট, অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো, পরিবহণসহ অন্য সেবা সংস্থাগুলো খোলা থাকবে। বন্দরে সৃষ্ট কনটেইনার জট নিরসন করে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, জুন থেকে আমদানির তুলনায় রপ্তানি বেড়েছে। আমদানি কম হওয়ায় জাহাজ ও কনটেইনার সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে রপ্তানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ও বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ) কনটেইনার জট নিরসনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে চিঠি দিয়েছে। এর আলোকে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কনটেইনার জট নিরসনে ঈদের ছুটিতে বন্দরের সব সেবা সার্বক্ষণিকভাবে চালু রাখা হবে। শুধু ঈদের নামাজ ও কুরবানির জন্য কিছু সময় বন্দরের কার্যক্রম সীমিত আকারে বন্ধ থাকবে। অন্যান্য সময় ২৪ ঘণ্টাই খোলা রাখা হবে। তিনদিনের ঈদের ছুটি চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এরপর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। সব মিলে ৫ দিন ছুটি থাকবে। ছুটির মধ্যে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু কবে কঠোর বিধিনিষেধ। ওই সময়েও বন্দরের কাজ চলবে। বন্দরের বহির্নোঙরে বর্তমানে যেসব জাহাজ অপেক্ষা করছে পণ্য খালাসের জন্য সেগুলোর পণ্য খালাস করে কনটেইনার খালি করা হবে।
খালি কনটেইনারে রপ্তানি পণ্য ভরে সেগুলো জাহাজে তোলা হবে। এজন্য সিঙ্গাপুর থেকে একটি জাহাজ আনা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও শ্রীলংকার কলম্বো বন্দরের মধ্যে চলাচলের জন্য তিনটি জাহাজের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।
বন্দর থেকে আমদানি খালাসের ক্ষেত্রে শুল্ক চালান বিষয়ক ব্যাংকে অনেক কাজ থাকে। বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংকগুলো চলছে সীমিত আকারে। যে কারণে প্রতিদিন যেসব চালান জমা হতো সেগুলো নিষ্পত্তি করা সম্ভব হতো না। এ জটিলতা নিরসনে বন্দরের কাজে সংশ্লিষ্ট সবগুলোর ব্যাংকের শাখা সপ্তাহে ৭ দিন সার্বক্ষণিক খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে প্রয়োজন হলে বাড়তি জনবল নিয়োগ করতেও বলা হয়েছে। এ বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শাখা ব্যবস্থাপকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে কাস্টম হাউজের কার্যক্রমও সার্বক্ষণিকভাবে খোলা রাখা হবে। সিএন্ডএফ এজেন্টগুলো কাজ করবে।
আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের বীমা বিষয়ক প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোকেও খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দেশের মোট আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ৮৫ শতাংশই সম্পন্ন হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। বন্দরে জটের কারণে এ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। তখন ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন খাতে ড্যামারেজ বাবদ বাড়তি খরচ করতে হয়। এতে আমদানি-রপ্তানি খরচ বাড়ে।