নবীকে কটূক্তির অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে বুটেক্সের হল থেকে বহিষ্কার

স্টার নিউজ ডেস্ক:
ইসলামের নবী মুহাম্মদকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটূক্তির অভিযোগে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) এক শিক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী এখন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। গতকাল রোববার রাতভর প্রায় চার ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পর কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী শামিম বিবিসি বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে অলরেডি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছে। তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে”।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলের প্রভোস্ট মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ”…ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করে হলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় তাকে হল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হল।”রোববারের তারিখ দেয়া এই আদেশে ওইদিনই তাকে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসাথে এতে আরও বলা হয়েছে ঘটনার প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
রাতেই অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে থানা হেফাজতে এনে রাখা হয়েছে জানিয়ে ওসি মি. শামিম বলেন, “মাঝরাত আড়াইটায় তাকে আনা হয়। তার নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য থানা হেফাজতে এনে রাখা হয়েছে। হলের পরিস্থিতি এখন শান্ত। তাকে হল থেকে বের করার সময় শিক্ষার্থীরা চড়-থাপ্পর দিয়েছিলো”। রোববার রাত আটটার দিকে আরেকজন শিক্ষার্থীর একটি ফেসবুক পোস্টে ইসলামের নবীকে নিয়ে তিনি ওই মন্তব্য করেন। তার এই মন্তব্য দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, রাত দশটা থেকে ওই শিক্ষার্থীর হল ঘিরে রাখা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। তবে এখন হলগুলোর পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি। ঠিক কখন ওই শিক্ষার্থীকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হবে এমন প্রশ্নে মি.শামিম বলেন, “ ছেড়ে দিলে যদি শিক্ষার্থীরা যদি আবার মারধর করে। তাকে ছাড়ার বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে”।