স্টার নিউজ ডেস্ক:
শিক্ষা বিস্তারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) বিনিয়োগ ও ভর্তুকি অব্যাহত রাখবে ঘোষণা দিয়ে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘শুধুমাত্র পাঠ্য বইয়ের শিক্ষা নয়, নৈতিক শিক্ষার দিকেও মনোযোগ দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যদি একজন ডাক্তার উচ্চ শিক্ষিত হয়েও দরিদ্রদের চিকিৎসা না করতে পারে, তবে সে শিক্ষার কোনো মূল্য নেই। একইভাবে, যদি একজন শিক্ষক মেধাবী দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পড়ানোর সুযোগ না পান, তাহলে তার অর্জিত শিক্ষা সমাজের জন্য তেমন কোনো উপকার বয়ে আনবে না।’
শনিবার নগরীর ৯ নং আকবরশাহ ওয়ার্ডের জানারখীল জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ কথা বলেন।
মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, বাংলাদেশের সিটি কর্পোরেশনগুলোর মধ্যে একমাত্র চসিকই শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করে থাকে। বর্তমানে ৮৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় ৬৫হাজার শিক্ষার্থীকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করছে চসিক। এক্ষেত্রে প্রতি বছর যে ভর্তুকি দিতে হয় সেটিকে আমি ব্যয় মনে না করে বিনিয়োগ মনে করি। কারণ শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে তারা ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম ও সর্বোপরি দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে। এজন্য মেয়র হিসেবে আমি শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখব।
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রতি গুরুত্বারোপ করে মেয়র বলেন, ‘সকালের নাস্তা খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নাস্তা না খেলে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হয় এবং পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট হয়। নাস্তার ক্ষেত্রে ব্যালেন্সড ডায়েট বজায় রাখতে হবে, যেখানে অন্তত একটি কলা, একটি ডিম এবং এক গ্লাস দুধ থাকতে হবে।’
জমির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও পলাশ চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনজুরুল আলম মনজু, সাবেক কাউন্সিলর আব্দুস সাত্তার সেলিম, মাঈনুদ্দিন চৌধুরী মাঈনু, রেহান উদ্দিন প্রধান, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, কামাল উদ্দিন পারভেজ, লুৎফুর রহমান এবং সৌরভ প্রিয় পালসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠান শেষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মেয়রসহ অতিথিরা।