নতুন নামে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ ১৪৩২

স্টার নিউজ ডেস্ক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রতিবার নতুন বছরকে বরণে রাজধানীতে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বের করে থাকে। এই নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এবার ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে রাজধানীতে নববর্ষের শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদ্যাপনের বিভিন্ন দিক জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ‘আমরা নাম পরিবর্তন করছি না। আমরা পুরোনো নাম এবং ঐতিহ্যে ফেরত যাচ্ছি, যেই নাম দিয়ে চারুকলায় নববর্ষে শোভাযাত্রার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।এ প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, এই শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্যে দু’টি বার্তা আছে। একটি হচ্ছে, রাজনৈতিক ও সামাজিক নিবর্তনমূলক স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ, সেই বিষয়টি তুলে ধরা। কিছু মোটিফ সেই কাজটি করছে। আর দ্বিতীয় যে অংশটি আছে, তা হলো মূলত ঐক্যের ডাক, সম্প্রীতির ডাক। সংবাদ সম্মেলনে একই প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম শেখ বলেছেন, এটিকে আমরা নাম পরিবর্তন বলতে চাইনা। নাম পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৮৯ সালে যখন আমরা শিক্ষার্থী ছিলাম, তখন এর নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। পরবর্তী সময় এটি মঙ্গল শোভাযাত্রা হিসেবে পরিবর্তন হয়। ইতিহাস দেখলে দেখা যাবে, আনন্দ শোভাযাত্রা নামে ১৯৮৯ সালে যে আয়োজনটি হয়েছিল, সেটির স্বতঃস্ফূর্ততা কেমন ছিল। আর পরবর্তীকালে মঙ্গল শোভাযাত্রার সময়ে তার স্বতস্ফূর্ততা কেমন ছিল। প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ১৯৮৯ সাল থেকে পহেলা বৈশাখে শোভাযাত্রা করে আসছে। শুরুতে নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পটভূমিতে অমঙ্গলকে দূর করে মঙ্গলের আহ্বান জানিয়ে শোভাযাত্রার নামকরণ হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে।