
স্টার নিউজ ডেস্ক:
আফগানিস্তানে নতুন সরকারের গঠন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং দেশটির সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে শেখ হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাকে নিয়োগ করতে যাচ্ছে তালেবান। দলটির এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে স্থানীয় সময় বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
প্রতিবেদনে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারই তালেবানের পক্ষ থেকে আখুন্দজাদাকে সর্বোচ্চ নেতা নিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। এছাড়া যুদ্ধ বিধ্বস্ত ওই দেশটির প্রধান প্রধান মন্ত্রালয় ও দফতরগুলোর দায়িত্ব নিতেও তালেবান প্রস্তুত।
সরকার গঠন নিয়ে চলতি সপ্তাহেই তালেবানের অন্যান্য প্রধান নেতার সঙ্গে কান্দাহারে বৈঠক করেছেন শেখ হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা।
এদিকে তালেবান নেতা ও গোষ্ঠীটির কালচারাল কমিশনের সদস্য বিলাল করিমের বরাত দিয়ে আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ নিউজও তালেবানের নতুন সরকার কাঠামোর বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনে হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা নতুন দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে।
নতুন আফগান সরকারের প্রধান
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, আফগানিস্তানের নতুন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন মোল্লাহ আব্দুল গনি বারাদার। তিনি তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তালেবানের উপ-প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন। আফগানিস্তানের নতুন সরকার প্রধান হিসেবে তিনি দেশটির দৈনন্দিন কাজ সামলাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া কাতারের দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় তালেবানের নেতৃত্বে ছিলেন বারাদার। তার নেতৃত্বে স্বাক্ষরিত চুক্তির মাধ্যমেই আফগান ভূখণ্ড থেকে চূড়ান্ত বিদায় নেয় যুক্তরাষ্ট্র।
সরকারের অংশ হবে হাক্কানি গ্রুপও
তালেবানের অন্যতম শীর্ষ এবং প্রভাবশালী নেতা সিরাজউদ্দিন হাক্কানি। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, নতুন সরকারের বড় পদগুলোতে সিরাজউদ্দিন হাক্কানি ও তার অনুসারিরা থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে বড় পদে আসীন হওয়ার মাধ্যমেই নতুন আফগান সরকারের অংশ হতে যাচ্ছেন তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লাহ মোহাম্মদ ওমরের ছেলে মালায়ি মোহাম্মদ ইয়াকুব।
মার্কিন এই সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, আফগানিস্তানে নতুন সরকার অনেকটা নিশ্চিত হলেও দেশটিতে শুরা বা কাউন্সিলের ভূমিকা ঠিক কি হবে তা এখন পরিষ্কার নয়। এছাড়া সকল দল ও মতের রাজনীতিকদের নিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের ব্যাপারে ইতোপূর্বে তালেবানের করা অঙ্গীকার পূরণ করা হবে কি না সেটিও এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয়।
এর পাশাপাশি দেশটির সাবেক সরকারের অংশ হামিদ কারজাই ও আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ তালেবানের এই নতুন সরকারে থাকবেন কি না সেটিও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
তবে তালেবানের অন্য যেসব নেতা ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবে সামনে আসতে পারেন, তাদের মধ্যে সদর ইব্রাহিম অন্যতম। কাবুলের পতনের পর থেকে তালেবানের এই নেতা দেশটির ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করে আসছেন।
