
স্টার নিউজ ডেস্ক:
তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তাদের যে বৈঠক শুরু হয়েছে, তা সফল করতে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
এরদোয়ানের আমন্ত্রণে বেলারুশের গোমেল শহর থেকে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে স্থানান্তর করা হয়েছে দুই দেশের প্রতিনিধিদের শান্তি সংলাপ। মঙ্গলবার রাশিয়া ও ইউক্রেনের বৈঠক শুরুর আগে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।
ভাষণে এরদোয়ান বলেন, ‘আমি প্রথমেই আপনাদের মাধ্যমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। তারা উভয়েই আমার প্রিয় বন্ধু।’
‘আপনারা সবাই সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ভালোভাবেই অবগত আছেন। তারপরও বলছি, রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনা নিয়ে দুই দেশের সাধারণ মানুষ তো বটেই, আমরাও উদ্বিগ্ন। তবে আমাদের বিশ্বাস, বর্তমানে যে উত্তেজনা চলছে— তা থামাতে উভয়পক্ষকে দায়িত্বশীল হতে হবে এবং একটি শান্তিচুক্তি এই ট্র্যাজেডির অবসান ঘটাতে পারে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার ৫ দিন পর—১ মার্চ বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দর লুকাশেঙ্কোর আমন্ত্রণে দেশটির সীমান্তবর্তী শহর গোমেলে প্রথম শান্তি বৈঠক হয় রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে।
তারপর থেকে এ পর্যন্ত কয়েকদফা আলোচনায় বসেছেন উভয় দেশের প্রতিনিধিরা। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর ফলাফল আসেনি সেসব বৈঠক থেকে।
ইস্তাম্বুলের বৈঠকে যেন গোমেলের পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য দুই দেশের প্রতিনিধিদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার তাগিদ দেন এরদোয়ান।
‘আমরা মনে করি, এমন একটি পর্যায়ে আমরা পৌঁছেছি— যেখানে বৈঠক থেকে একটি নিরেট ও কার্যকল ফলাফল আসা উচিত। দুই দেশের নেতারা শান্তির জন্য আপনাদের ওপর যে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন, তা সুষ্ঠুভাবে আপনারা পালন করবেন— এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
‘আমরা সবাই অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চাই। যত দ্রুত যুদ্ধবিরতি আসবে, ততই কূটনৈতিক পন্থায় দুই দেশের সমস্যা সমাধান সহজ হবে,’ প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন জেলেনস্কি।
সূত্র: সিএনএন