
স্টার নিজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার জেলার চা শ্রমিকদের দুঃখ-কষ্ট আর নানা দাবি-দাওয়ার কথা শুনলেন । সেই সঙ্গে শ্রমিকদের দিয়েছেন আশ্বাস।
বিশেষ করে শ্রমিকদের সবাই নিজ নিজ ঘর পাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন সরকারপ্রধান।
চা শিল্প যেন ধ্বংস না হয় সেজন্য মালিক-শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের ঐতিহ্যবাহী চা শিল্পকে কোনোভাবেই ধ্বংস হতে দেওয়া হবে না।
মজুরি বাড়ানোর পর চা শ্রমিকদের দাবি ছিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার। তাদের সেই দাবিতে সাড়াও দেন প্রধানমন্ত্রী।
সেই অনুযায়ী শনিবার বিকালে শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও চট্টগ্রামের চা শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তাদের কথা শোনেন।
বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মৌলভীবাজারের পাত্রখোলা চা বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তাকে স্বাগত জানান মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।
পাত্রখোলা চা বাগানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ, মৌলভীবাজার আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নেছার আহমদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা।
দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৯ অগাস্ট থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন দেশের ২৪১টি চা বাগানের প্রায় সোয়া লাখ শ্রমিক। প্রথম চারদিন শ্রমিকরা প্রতিদিন দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন। ১৩ অগাস্ট থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করেন শ্রমিকরা।
টানা ধর্মঘটের মধ্যে ২০ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে মজুরি বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার ঘোষণার পর সুরাহার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। ওইদিন শ্রমিক ইউনিয়ন কাজে ফেরার ঘোষণা দিলে কয়েকটি বাগানে শ্রমিকরা কাজে নেমেছিলেন। কিন্তু বেশির ভাগ শ্রমিক এ মজুরি না মেনে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন।
আন্দোলনের ১৯তম দিন ২৭ অগাস্ট গণভবনে চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ)সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকের পর নতুন মজুরির ঘোষণা আসে। এরপর শ্রমিকরা নিজ নিজ বাগানে কাজে ফিরেছেন।