
স্টার নিউজ ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় মোখা শক্তিশালী হয়ে কক্সবাজারের দিকে এগিয়ে আসছে। ঘূর্ণিঝড়টি টেকনাফের সেন্ট মার্টিন দ্বীপসহ মিয়ানমারের উপকূল এবং এর আশপাশের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। সকাল থেকেই কক্সবাজারের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন বৃষ্টি হচ্ছে।
জানা গেছে, কক্সবাজার ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় শনিবার (১৩ মে) আজ সন্ধ্যার দিকে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ আঘাত হানবে এবং রোববার (১৪ মে) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
এ আশঙ্কায় উপকূলীয় জেলাগুলোতে জারি করা হয়েছে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত। রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
জেলাগুলো হলো-কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ।
এছাড়া কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। মোংলা সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অতি প্রবলঘূণিঝড় মোখা’র কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ১৪০ কিলোমিটার। যা ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
ইতোমধ্যে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। দ্বীপে ১৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবকরা একযোগে কাজ করছেন।