মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত প্রথম নারী

স্টার নিউজ ডেস্ক:
মেক্সিকোর ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ক্লদিয়া শেনবাউম। দেশটির ক্ষমতাসীন বামপন্থী দল থেকে এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন শেনবাউম। গতকাল রোববার বিপুল ভোটে জয় পেয়ে দলকে নতুন মেয়াদে ক্ষমতায় রাখছেন তিনি।
শেনবাউমের বয়স ৬১ বছর। রাজধানী মেক্সিকো সিটির সাবেক মেয়র তিনি। শুরু থেকেই বামপন্থী রাজনীতি করেছেন। দেশটির বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদরকে গুরু মানেন তিনি। তবে পাকাপাকিভাবে ক্ষমতায় বসার পর ওব্রাদরের চেয়ে তিনি কতটা আলাদাভাবে নিজেকে মেলে ধরবেন, সেদিকেই তাকিয়ে আছেন মেক্সিকোবাসী।
ক্লদিয়া শেনবাউম বিজ্ঞানের মানুষ। জ্বালানি প্রকৌশলে (এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং) তাঁর পিএইচডি ডিগ্রি আছে। তিনি জলবায়ুবিজ্ঞানী। তাঁর ভাই পদার্থবিদ। ২০২৩ সালে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) সঙ্গে এক আলাপচারিতায় শেনবাউম বলেন, ‘আমি বিজ্ঞানে বিশ্বাসী।’
আগামী ১ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসবেন ক্লদিয়া শেনবাউম। এর পরপরই তিনি যেসব বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে মেক্সিকোয় চলমান সহিংসতা। নির্বাচনী এক প্রচারণায় শেনবাউম বলেছিলেন, দেশে অপরাধ দমনে প্রেসিডেন্ট ওব্রাদর যে নিরাপত্তা বাহিনী গড়ে তুলেছেন, তার পরিধি আরও বাড়াবেন তিনি।
শেনবাউম বরাবরই প্রেসিডেন্ট ওব্রাদরের প্রশংসা করেছেন। আবার দেশের লাখ লাখ মানুষের দারিদ্র্যের জন্য নব্য উদারতাবাদী অর্থনীতিকে দোষারোপ করেছেন তিনি। প্রশংসা করেছেন মেক্সিকোর রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান ‘পেমেক্স’–এর। একই সঙ্গে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ওপর গুরুত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
ওব্রাদরের সঙ্গে শেনবাউমের তফাত হলো, সরকারের অন্যান্য শাখা ও গণমাধ্যমের সঙ্গে নিজের লড়াইটা ওব্রাদর উপভোগ করেন বলেই মনে হয়েছে। অপর দিকে এমন লড়াইয়ে শেনবাউম কম জড়াবেন বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা। মেক্সিকোর আইবিরো আমেরিকান ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ইভোনি অ্যাকুনা মুরিলো বলেন, মনে হচ্ছে, তিনি ভিন্ন পথ ধরেই এগোবেন।
এদিকে ক্লদিয়া শেনবাউম শুধু মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্টই হতে যাচ্ছেন না, ইহুদি পরিবার থেকে আসা দেশটির প্রথম কোনো রাষ্ট্রপ্রধানও হচ্ছেন তিনি। এর আগে মেক্সিকোর বেশির ভাগ প্রেসিডেন্টই ছিলেন ক্যাথলিক খ্রিষ্টান।