তুরস্কের দাবানলে ৩৯ হাজার মানুষ ঘরছাড়া

স্টার নিউজ বিদেশ প্রতিনিধি:
তুরস্কে ছড়িয়ে পড়া দাবানল অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন শুধু দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মিলাস ও কয়চেগিজ জেলায় দাবানল সক্রিয় রয়েছে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে এরদোয়ান সরকার। ফায়ার ফাইটারদের বীর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছে প্রায় ৩৯ হাজার মানুষ। টিআরটি ওয়ার্ল্ড। গতকাল সোমবার তুরস্কের কৃষি ও বনমন্ত্রী বেকির পাকদেমিরিলি এক টুইটে বলেন, ফায়ার ফাইটাররা তাদের জীবন বাজি রেখে দাবানল নিয়ন্ত্রণে স্থল ও আকাশপথে কাজ করছে। ২৯ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে মুগলা ও আনাতোলিয়ায় বিমানবাহিনী ১৯ হাজার ১৪০টি অভিযানে ব্যবহার করে ৭৫ হাজার টন পানি। এ পর্যন্ত দাবানলে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু আনাতোলিতায়ার স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি বলছেন, দক্ষিণ আনাতোলিয়া প্রদেশের ৫৯টি মহল্লা এবং ৩ হাজার ২৩১টি ভবন আগুনে আক্রান্ত হয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ডিজাস্টার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এএফএডি) ৪০০ তাবু পাঠিয়েছে আক্রান্ত এলাকায়। ইতোমধ্যে ২০৭টি তাবু স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, ১৬টি ট্রাক্টরসহ ৯৩টি যাবাহন আগুনে নষ্ট হয়ে গেছে। ৪৩ মহল্লার পশুপালনকারীরা ১১ মিলিয়ন লিরা বা ১ কোটি ৪৪ লাখ সমপরিমাণ টাকার ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন। জনগণের এই ক্ষতিপূরণ সরকার হাতে হাতে পরিশোধ করবে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষিজমির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন- জলপাই, ডালিম, সাইট্রাস, লরেল এবং ক্যারব বাগান, যেগুলো আগুনের সময় পুড়ে গিয়েছিল সেগুলো পুনরায় রোপণ করা হবে।
নাগরিকদের ঘরবাড়ি, গাড়ি, প্রাণি ও কৃষিজমির যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ ধাপে ধাপে দেওয়া হবে। কোনো সময়ক্ষেপণ ছাড়াই তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মোগলা প্রশাসন সোমবার জানায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সাতটি বিমান, ৩৯ হেলিকপ্টার, দুটি ড্রোন এবং ১০ হাজার ৫৪৭ জন কর্মী কাজ করেছে। অভিযানে অংশ নেয় অন্তত ২ হাজার ৫৪৫টি যানবাহন।
২৯ জুলাই স্থানীয় সময় ১.১১টার সময় তুরস্কে দাবানল শুরু হয় বলে জানিয়েছে বনবিভাগ। আগুনে ৩৮ হাজার ৭১৫ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে দেয়। আগুন দগ্ধ হয় ৬৮৭ জন। এদের মধ্যে ৬৭২ জনতে ইতোমধ্যে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
দাবানল কেমারকয় তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছাকাছি চেলে এসেছিল। কিন্তু যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।