
স্টার নিউজ ডেস্ক:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে বললে তিনি গৌরবান্বিত হন না, আমরাই গৌরবান্বিত হই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় যাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদানে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা যে কথা বলতেন সে কথা তিনি বিশ্বাস করতেন। তিনি বলতেন, ফাঁসির মঞ্চে গিয়েও আমি বলব ‘বাংলা আমার ভাষা, আমি বাঙালি।’ এটা শুধু ওনার বক্তৃতার ভাষা ছিল না, এটা ছিল ওনার হৃদয় উৎসারিত সারাজীবনের তপস্যা।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে বললে আমরা ধন্য হই। আমরা সেই রাজনৈতিক দীক্ষার পথে তিল পরিমাণ হলেও এগিয়ে যাই। জাতির পিতা আপনি আকাশের কোন তারা হয়ে আছেন আমরা জানি না, ধ্রুবতারার চেয়েও আরও উজ্জ্বল তারা আপনি আমাদের কাছে।
আওয়ামী লীগের এ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, জাতির পিতা আপনি আজকে দেখে যান। আপনাকে সপরিবারে শেষ করে ওরা ভেবেছিল বাংলাদেশের সব সম্ভাবনা শেষ করে দেবে, নস্যাৎ করে দেবে। বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাবে। আজকে সেই পাকিস্তানের পার্লামেন্টে মেম্বাররা বলছে, ‘মুঝে বাংলাদেশ বানা দি যিয়ে’। একটা বাংলাদেশ হওয়ার জন্য পাকিস্তানের পার্লামেন্টে মেম্বাররা আকুতি জানাচ্ছে।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আজকে আমাদের দেশ থেকে লোকজ সংস্কৃতি হারিয়ে যাওয়ার ফলেই কিন্তু ধর্মের নামে অধর্ম আমাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। গ্রামে-গঞ্জে নাটক যাত্রার বদলে ওয়াজের নামে এমন সব কথা বলেন যেটা আমরা যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী আমাদেরও শঙ্কিত করে তোলে। এই ধরনের অযৌক্তিক কথা বার্তা বললে আমরা অন্য ধর্মের মানুষের কাছে হাসির পাত্র হয়ে যাব। আমরা সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসেছি বলেই আজকে এ ধরনের অযৌক্তিক কথা অন্ধের মতো বিশ্বাস করি।
বিএনপির সভা সম্পর্কে তিনি বলেন, উনি (তারেক রহমান) মিটিং করে বিএনপি নেতাদের হুমকি দিয়েছেন যে কঠোর আন্দোলন করতে হবে সরকারের বিরুদ্ধে, যদি আন্দোলন করতে না পারেন তাহলে বিএনপি নেতাদের দল থেকে বের করে দেওয়া হবে। এটা দিতেই পারেন। কারণ বিএনপি যদি একটা আদর্শিক রাজনৈতিক দল হতো তাহলে সেখানে আদর্শের কথা হতো। আদর্শের কর্মীকে কখনো দল থেকে, পদ থেকে বের করে দেওয়া যায় না।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, কিন্তু যেহেতু এটা আদর্শের দল নয়, এটা ক্ষমতালোভী একটা সন্ত্রাসী, জঙ্গিগোষ্ঠী সেইখানে যে কাউকে ইচ্ছা মতো দলে আনা যায়, ইচ্ছা মতো দল থেকে বের করে দেওয়া যায়। বিএনপি সেটা করছে, তারা সেটা করবে।
চিত্র শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, শিশুদের প্রতি জয়বাংলা শুভেচ্ছা রইলো। আওয়ামী লীগকে ধন্যবাদ দিচ্ছি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা প্রমাণ মিলেছে। তোমাদের প্রতি অসংখ্য ভালোবাসা রইল।
ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিজয়ীদের শুভেচ্ছা জানান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি এঁকে চার বিভাগে পুরস্কার অর্জন করা ১০০ শিশুর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
