
স্টার নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশের বোলিংয়ে বিধ্বস্ত হল পাপুয়া নিউগিনি। লক্ষ্য তাড়ায় ২৪ রানেই ছয় উইকেট হারায় তারা। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি পিএনজির। যদিও শেষের ব্যাটাররা বেশ কিছু রান তুলেছে।
তবে সেটি শুধু রানের ব্যবধানই কমিয়েছে। এদিকে বড় জয়ে সুপার টুয়েলভের খেলাও নিশ্চিত করে ফেলেছে টাইগাররা। ১৮২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৯৭ রানেই শেষ পাপুয়া নিউগিনির ইনিংস। বাংলাদেশের জয় ৮৪ রানে।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনির সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন নরমান ভানুয়া। তবে আজ মেহেদীর ঝুলিয়ে দেওয়া বলে ক্রিজ ছেড়ে বেড়িয়ে খেলতে গিয়ে মুশফিকের হাতে ধরা পড়লেন কোনো রান না করেই। এর আগে সাকিবের বলে ফিরেছেন সেসে বাউ। সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণি, সঙ্গে তাসকিন, সাইফউদ্দিন এবং মেহেদী হাসানের তোপের মুখে বিশ্বকাপ থেকে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে পিএনজিকে।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাপুয়া নিউগিনির ব্যাটাররা আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন। সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ এবং সাকিব আল হাসানের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি নবাগত দলটি।
প্রথম দুটি ওভার ভালোভাবেই মোকাবেলা করেছে দেশটির ওপেনাররা। তৃতীয় ওভারে এসে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে গেলেন ওপেনার লেগা সিয়াকা। ১০ বলে ৫ রান করেন তিনি। এরপর নুরুল হাসান সোহানের দুর্দান্ত এক ক্যাচে পরিণত হলেন পিএনজি অধিনায়ক আসাদ বালা। তাসকিনের বলটি লেগ সাইড দিয়ে বের হওয়ার মুহূর্তে ব্যাটের খোঁচা দেন। সেই বলটি ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাতে তালুবন্দী করেন সোহান।
এরপর সাকিবকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ওভারের প্রথম বলেই উইকেট নিলেন সাকিব। এবারও আরও একটি দুর্দান্ত ক্যাচ ধরলেন মোহাম্মদ নাইম। ২০ থেকে ২৫ গজ পেছনে গিয়ে লং অফে অসম্ভব এক ক্যাচ তালুবন্দী করেন নাইম। তাতে ফিরে যান চার্লস আমিনি। ওই ওভারের চতুর্থ বলে আবারও উইকেট নিলেন সাকিব। এবার শেখ মেহেদী হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সিমন আতাই। ২ বল খেলে কোনো রানই করতে পারলেন না তিনি।
পরের বলে আবারও ক্যাচ। এবার ক্যাচ তুললেন সেসে বাউ। কিন্তু তার ক্যাচটি ফেলে দেন নুরুল হাসান সোহান। ৯ম ওভারে গিয়ে আবারও উইকেট পেলেন সাকিব আল হাসান। সেই সেসে বাউকেই এবার মোহাম্মদ নাইমের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন সাকিব। ২১ বলে ৭ রান করে ফিরেন সেসে।
