
স্টার নিউজ ডেস্ক :
রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের সমর্থনে দৃঢ়ভাবে পাশে থাকার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। একইসাথে তারা রোহিঙ্গা সঙ্কটের মূল কারণ মোকাবেলা করে এর দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ঢাকায় ১৪টি পশ্চিমা দেশের মিশন প্রধানরা এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা, সুরক্ষা ও শিক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা বাংলাদেশ সরকার, জাতিসঙ্ঘ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে একযোগে কাজ করব। বাংলাদেশে অবস্থানকালে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদার সাথে জীবন যাপন করার সক্ষমতাকে আমরা গুরুত্ব দেই, একইসাথে অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তাদের মিয়ানমার ফিরে যাওয়াকে আমরা সমর্থন করি। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠিকে আমরা সমর্থন দিয়ে যাব।
মিয়ানমারের বিভিন্ন স্থানে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও সামরিক বাহিনীর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে উদ্বেগ প্রকাশ করে মিশন প্রধানরা বলেন, মিয়ানমারে বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হবে। রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়াবহ নৃশংসতা চালানোর সাথে জড়িতদের আন্তর্জাতিক জবাবদিহিতার আওতায় আনতে আমরা বদ্ধপরিকর। রোহিঙ্গাদের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত কিছু ব্যক্তির ওপর আমাদের দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অর্ভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের রাজনৈতিক ও মানবিক সঙ্কটের সামাধান আমরা চাই। আর এই সমাধান অবশ্যই রোহিঙ্গাদের নিয়েই করতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে ২০১৭ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গার মিয়ানমার থেকে বাধ্য হয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার ভয়ঙ্কর ঘটনাপ্রবাহকে আমরা স্মরণ করছি। এই বাস্তুচ্যুতির মুখে রোহিঙ্গাদের অবিশ্বাস্য সহনশীলতা ও সাহসকে আমরা স্বীকৃতি দেই। রোহিঙ্গাদের অব্যাহতভাবে আশ্রয় দেয়ার বাংলাদেশ সরকার ও স্থানীয় জনগোষ্ঠির উদারতার জন্য আমরা গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই।
বিবৃতিদাতারা হলেন- যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত, ব্রিটিশ হাইকমিশনার, কানাডার হাইকমিশনার, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত, জার্মানির রাষ্ট্রদূত, ইটালির রাষ্ট্রদূত, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত, স্পেনের রাষ্ট্রদূত, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত।