
স্টার নিউজ ডেস্ক:
নরওয়েতে নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বামপন্থী জোট। দেশটির লেবার পার্টির নেতা জোনাসের নেতৃত্বে বামপন্থী জোট এই জয় পেল। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
২০১৩ থেকে ক্ষমতায় রক্ষণশীল নেত্রী অ্যারনা সোলব্যর্গের নেতৃত্বাধীন জোট। আট বছর পর তাদের ক্ষমতাচ্যূত করল বামপন্থী জোট। নির্বাচনের এই ফল দেশটির তেল শিল্পের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিপুলে ভোটে জয়ের পর বামপন্থী জোট নেতা জোনাস বলেছেন, ‘আমরা এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম, আশায় ছিলাম, আমরা খুবই পরিশ্রম করেছি। শেষ পর্যন্ত আমরা পেরেছি।’ তিনিই সম্ভবত পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন।
ইউরোপের দেশ নরওয়ের পার্লামেন্টে আসন সংখ্যা ১৬৯। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ছিল ৮৫টি আসনের। এখনো পর্যন্ত ৯৭ দশমিক পাঁচ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে। বামপন্থীরা পেয়েছেন ১০০টি আসন।
বামপন্থি জোটের নেতা জোনাস আরও বলছেন, ‘নরওয়ের মানুষ একটা বার্তা দিয়েছেন। তারা ন্যায্য সমাজ চান, যেখানে কোনো বিভেদ থাকবে না।’ তাদের জোটকে জয়ী করার তিনি দেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
নরওয়ের নির্বাচনী প্রচারের সময় সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছিল জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু। বামপন্থী জোটের নেতারা নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছিলেন, তেলভিত্তিক অর্থনীতি থেকে ধীরে ধীরে নরওয়েকে সরেয়ে নিয়ে আসতে হবে।
গ্রিন পার্টি অবিলম্বে তেল খোঁজার কাজ বন্ধ করার দাবি তুলেছিল। রক্ষণশীলরাও পেট্রো পদার্থের ওপর নির্ভরতা কমানোর কথা বলেছিল। উল্লেখ্য, নরওয়ে হলো পশ্চিম ইউরোপের অন্যতম তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদক।
নরওয়েরে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী সোলব্যর্গ বলেছেন, তিনি বামপন্থীদের জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছেন। আর জোনাস বলেছেন, ‘নরওয়ে নতুন সরকার পাচ্ছে। মানুষ যাতে নতুন দিশা পান, সেটা নিশ্চিত করা হবে।’
বামপন্থিরা কম ও মধ্য আয়ের মানুষদের কর কমিয়ে ধনীদের ওপর বেশি কর আরোপ ছাড়াও গ্রামের সমর্থকদের স্বার্থ রক্ষা করার কথা বলেছেন। এখন দেখার নরওয়ের কতটা পরিবর্তন আনতে পারেন বামপন্থীরা।
