
স্টার নিউজ ডেস্ক:
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকার উৎপাদন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।
তিনি জানান, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের বকেয়া টিকাগুলোও আগামী বছরের শুরু দিকে পাওয়া যাবে।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর চাচ্ছেন আমাদের সরকার টিকা উৎপাদন করুক। তার জন্য যা যা করা দরকার, তা আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে করা হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, আগামী বছর বাংলাদেশের টিকা তৈরি শুরু হয়ে যাবে, ইনশাল্লাহ। টিকার বিষয়ে সবার সঙ্গে কথা বলছি। আমরা মনে করছি ১/২ বছর বা তারও বেশি সময় হতে পারে, এ টিকার প্রয়োজনীয়তা কিন্তু থাকবেই।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আগে সকালের খবরের কাগজ না পড়া পর্যন্ত সেই খবরটি ছড়িয়ে পড়তো না। যদি কেউ সকাল ৯টার খবর মিস করতো, তাহলে সেই খবরটি আর দেখতে পেত না। কিন্তু অনলাইনে সেই সুযোগটি আছে। যার ফলে সাংবাদিকদের এখন অনেক দায়িত্ব আছে।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দামের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন। তবে আমার মনে হয় এটি কমে আসবে। দাম কমে আগের পর্যায়ে না গেলেও এটি কমবে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে যে পরিবহনের ভাড়া বেড়েছে তা কিন্তু নয়। বরং শিপিংয়ের খরচ অনেক বেড়ে গেছে। শিপিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত কন্টেইনারের পরিবহনেও খরচ অনেক বেড়েছে।
পুঁজিবাজার নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী নেই বললেই চলে। এখানে যে লেনদেন হয় তার ৮০ শতাংশ আসে রিটেইল বা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে। বাকি ২০ শতাংশ আসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে। অর্থাৎ উন্নত বিশ্বের পুঁজিবাজারের চিত্র পুরো উল্টো বাংলাদেশে। আমাদের পুঁজিবাজার ইক্যুইটি ভিত্তিক। এখানে বন্ড মার্কেট নেই। বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। বর্তমান চেয়ারম্যান ও কমিশনারও এ বিষয়ে আন্তরিক। আশা করায় যায়, বন্ড মার্কেট জনপ্রিয় হলে পুঁজিবাজার চাঙ্গা হবে।
মিট দ্য রিপোর্টার্সে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউর সভাপতি মুরসালিন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান প্রমুখ।