
স্টারনিউজ ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের প্রকোপে অনেক ব্যবসা হুমকির মুখে পড়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে গত বছরের প্রথমদিকে দেশে লকডাউন শুরু হয়ে মাঝে কয়েকমাস কিছুটা শিথিল থাকলেও এখন আবারও কড়াকড়ি চলছে। এর জেরে অধিকাংশ ব্যবসায় সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো টিকে থাকলেও ক্ষুদ্র ও মাঝারিরা হিমসিম খাচ্ছে। তবে এ পরিস্থিতিতেও মন্দের ভালো যাচ্ছে কুরিয়ার আর ট্রান্সপোর্টের ব্যবসা।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনায় সবকিছু বন্ধ থাকলেও কুরিয়ার, ট্রান্সপোর্ট, জরুরি পণ্য পরিবহন এর আওতাবহির্ভূত রয়েছে। অন্যদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ছোট থেকে বড় সব ধরনের মালামাল পরিবহনে এসব সেবার কোনো বিকল্প নেই। তাই অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় এখন এসব ব্যবসা ভালো চলছে।
কুরিয়ার ও ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা যারা করেন এমন কয়েকজনের সঙ্গেও কথা বলে জানা গেছে, করোনার সময় গণপরিবহন বন্ধ থাকার পাশাপাশি মানুষের চলাচল সীমিত হয়ে যাওয়ার কারণে এখন নানা ধরনের অপ্রচলিত পণ্য পরিবহন করছেন তারা। যেগুলো আগে সাধারণত মানুষ নিজের সঙ্গেই বহন করতেন। এ ছাড়াও কম দূরত্বে বিভিন্ন মালামাল কুরিয়ারের মাধ্যমে দেয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে, যা আগে ওইসব কোম্পানি অথবা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে সরবরাহ করতো।
তবে অধিকাংশ ব্যবসায়ীর দাবি, গত বছরের লকডাউনের থেকে এ বছর লকডাউনে তাদের ব্যবসা অনেকটাই কমেছে। কারণ এ দফায় দোকানপাটে বেচাকেনা খুব কম। শঙ্কার কারণে মানুষ মালামাল পরিবহন কমিয়ে দিয়েছে।’
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশে ছোট-বড় মিলে প্রায় ৭০টি কুরিয়ার সার্ভিস রয়েছে। যদিও এর মধ্যে সরকার নিবন্ধিত কুরিয়ারের সংখ্যা ৩০ থেকে ৩৫টির মতো। বাঁকিগুলোর কেউ নিবন্ধন নেয়নি। আবার কারও কারও নিবন্ধনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। যা পরবর্তিতে হালনাগাদ করেনি।