
স্টার নিউজ ডেস্ক:
ভয়াবহ তাপপ্রবাহ ও খরায় বিপর্যস্ত চীন। এর জেরে সিচুয়ানে তৈরি হয়েছে বিদ্যুৎ সংকট। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই সংকট চলছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছে চীন। গত দুই সপ্তাহ ধরে সেখানে ভয়াবহ বিদ্যুৎ সংকট চলছে। তবে রোববার তাপমাত্রা কমে দাঁড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে। গত ছয় দশকের মধ্যে এই অঞ্চলে সবচেয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল এটি। গরম থেকে বাঁচতে মানুষ প্রবলভাবে এসি চালিয়েছেন। এর ফলে বিদ্যুৎ সংকট দেখা দেয়।
রোববার তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও ভয়ংকর খরা পরিস্থিতির এখনো উন্নতি হয়নি। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদ্যুৎ-সংকট এখনো কাটেনি। বিদ্যুৎ-সংকটের সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে শিল্পাঞ্চলে। স্বাভাবিক সময়ে সিচুয়ানের জলবিদ্যুৎ চীনকে বাঁচিয়ে রাখে। দেশের মোট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ৩০ শতাংশ এখানে হয়। কিন্তু সিচুয়ানে বিদ্যুৎ সংকটের ফলে অন্য অঞ্চল থেকে বিদ্যুৎ এখানে আনতে হয়। এর ফলে টয়োটা, ফক্সকন-সহ একাধিক সংস্থা বন্ধ রাখতে হয়। এখন প্রথমে ছোট ও মাঝারি সংস্থাকে বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে। তারপর বড় সংস্থাকে দেয়া হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব
সিচুয়ানের বিদ্যুৎ সরবরাহ অনেকটাই নির্ভর করে জলবিদ্যুতের উপর। তাই খরার প্রভাব এখানে ভালোভাবেই পড়ছে। তার প্রভাব পড়ছে অর্থনীতির উপর। করোনা ও ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রভাবও পড়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, এই খরার প্রভাব চীনেরকৃষি উৎপাদনের উপরেও পড়বে। ফলে চীনের কর্মকর্তারা চিন্তায়।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে