
স্টারনিউজ ডেস্ক:
চতুর্থবারের মতো যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন বাশার আল আসাদ। গতকাল শনিবার শপথ নেয়ার মাধ্যমে তিনি আরও সাত বছরের জন্য দেশটির নেতৃত্ব হাতে নিলেন। গত মে মাসে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও আসাদের বিরোধী পক্ষ এই নির্বাচনকে অগণতান্ত্রিক হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। সেসব উপেক্ষা করে শপথ অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে। উপস্থিত ছিলেন আলেম সমাজ, পার্লামেন্ট সদস্য, রাজনীতিক ও আর্মি অফিসাররা। ২০০০ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনে সরকার গঠন করেছেন বাশার আল আসাদ। তার শাসনামলের ১০ বছরই দেশে লেগে আছে যুদ্ধ। যুদ্ধের কবলে দেশ ও জনপদ জটিল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক সংকট গভীর থেকে গভীরতর হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, সিরিয়ার ৮০ ভাগ মানুষ এখন দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে। দেশটির মুদ্রার পতন ঘটে গেছে। নাগরিকরা মৌলিক সেবা পাচ্ছে না। উৎপাদন ভয়াবহ আকারে নেমে গেছে। দেশটিতে যুদ্ধাবস্থা অবসানের দিকে গেলেও কিছু অংশ সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে। সেসব অংশে বিদেশি দখলদার সৈন্য মোতায়েন রয়েছে। যুদ্ধের কারণে দেশটির লাখ লাখ মানুষ পাশের দেশ অথবা ইউরোপে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে। যুদ্ধ কেড়ে নিয়েছে ৫ লাখের বেশি মানুষের প্রাণ। হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। অসংখ্য অবকাঠামো ধংস হয়ে গেছে।
২০১১ সালে আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র একটি গোষ্ঠী বিদ্রোহ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার বিরোধীপক্ষের ওপর দমনপীড়ন চালায়। দশকজুড়েই বিদ্রোহীদের এই যুদ্ধ চলমান রয়েছে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিদেশি দখলদার বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্র দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইরান ও রাশিয়া আসাদকে সমর্থন করে সৈন্য পাঠালে যুদ্ধাবস্থা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে।